নিউক্যাসল, ১৯৬৮ - ইংল্যান্ডের নিউক্যাসলের স্কটসউড এলাকায় ঘটে যাওয়া দুটি শিশুহত্যা কাণ্ড গোটা দেশকে নাড়িয়ে দেয়। আর এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ছিল মাত্র ১১ বছর বয়সী এক কিশোরী – মেরি বেল। প্রথম হত্যাটি সংঘটিত হয় ১৯৬৮ সালের মে মাসে, যেখানে চার বছর বয়সী মার্টিন ব্রাউনকে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা
হয়। এরপর একই বছরের জুলাই মাসে তিন বছর বয়সী ব্রায়ান হাউকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ব্রায়ানের দেহে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন এবং চুল কেটে ফেলার মতো চাঞ্চল্যকর প্রমাণ পাওয়া যায়। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, মেরি বেল এই দুই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তার আচরণ এবং অপরাধস্থলে পাওয়া নানা প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিসেম্বর ১৯৬৮-তে আদালত মেরিকে দুটি হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে। তবে তার মানসিক অবস্থা বিবেচনায় তাকে খুনের পরিবর্তে ম্যানস্লটারের দায়ে দণ্ডিত করা হয়। আদালত তাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আটক রাখার নির্দেশ দেন। মেরি বেল ২৩ বছর বয়সে মুক্তি পান এবং নতুন পরিচয়ে জীবন শুরু করেন। ২০০৩ সালে হাইকোর্ট তার এবং তার মেয়ের পরিচয় গোপন রাখার জন্য আজীবন নিষেধাজ্ঞা জারি করে, যা যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত হয়। এই ঘটনা নিয়ে লেখিকা গিটা সেরেনি “Cries Unheard: The Story of Mary Bell” নামে একটি বই প্রকাশ করেন, যেখানে মেরির শৈশব, মানসিক অবস্থা এবং অপরাধের পেছনের কারণ নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়। এই প্রতিবেদনটি একটি ঐতিহাসিক ও মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলা হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। যদি আপনি চান, আমি এই বিষয়ে একটি আরও বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন বা তথ্যচিত্রধর্মী উপস্থাপনাও করতে পারি।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সরকারি সফরে কাতার গেছেন। শনিবার (৩ মে) সকালে তিনি কাতারে গেছেন বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান কাতারের সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং সামরিক বাহিনী সংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার লক্ষ্যেবিস্তারিত...